যন্ত্র’ণায় অ’তিষ্ঠ হয়ে স’স্ত্রীক লা’ইভে এসে কাঁ’দলেন কা’উন্সিলর খোরশেদ

এক না’রী ব্ল্যা’ক মেইলা’রের য’ন্ত্রণায় অ’তিষ্ঠ হয়ে স’স্ত্রীক লাই’ভে এসে পরিবারে’র সুরক্ষা কামনা ক’রেছেন ক’রোনা বীর না’মে পরিচিত না’রায়ণগঞ্জ সিটি কর’পোরেশনের আ’লোচিত কা’উন্সিলর মা’কসুদুল আল’ম খন্দ’কার খোরশেদ। ওই না’রী ইতো’মধ্যে খোর’শেদকে বি’য়ে কর’তে তাকে অপ’হর’ণ করা’র পাশা’পাশি ‘স্ত্রী ও স’ন্তান’দের হ”;ত্যা;র হু;মকি দি;য়েছেন।

তিন স;ন্তানের জন;নী ওই নারী গত ছয় মাস ধ;রে কাউ;ন্সিলর খোর;শেদ ও তার প;রিবারকে অ;তিষ্ঠ ক;রার পাশা;পাশি নানা জায়;গায় মি;থ্যা প্রপা;গ;ন্ডাও ছড়াচ্ছেন।শনি;বার রাতে স;স্ত্রীক নিজের ফে;সবুকে লাইভে এসে এমন;টাই দাবি করেছেন খোর;শেদ ও তার স্ত্রী। এ সময় আ;বেগাপ্লুত হয়ে খোরশে;দ কয়েক দ;ফা ডুক;রে কেঁ;দে ওঠেন এবং প্রশাসন ও রা;ষ্ট্রের কাছে পরি;বারের নিরাপত্তা দাবি করেছেন।

ফেস;বুক লাইভে; খোর;শেদের পাশেই ছিলেন তার ;স্ত্রী আফ;রোজা খন্দ;কার লুনা। লাইভের শেষে;র দিকে তিনিও কথা বলেন এবং তার স্বামী ও পরি;বারের নি;রাপত্তা দাবি করেন রা;ষ্ট্রের কাছে।

লাইভে কাউ;ন্সিলর খো;রশেদ জানান, আমি করো;নার শুরু ;থেকেই আক্রা;ন্তদের সেবা প্রদান করি ও স;ম্মুখে থেকে লড়া;ই করি, দাফ;ন-সৎ;কার করি। একপ;র্যায়ে গত মে মাসে আমি ও আমা;র স্ত্রী করোনায় আ;ক্রান্ত হই। এ সময় অক্সিজে;নের অ;ভাবে আ;মার স্ত্রীকে একপ;র্যায়ে আই;সিইউতে ভর্তি করতে হয়।

তখনই মনে হয় অক্সি;জেনের জন্য করো;নায় আ;ক্রান্ত যারা স;মস্যায় পড়;বেন তাদের অক্সি;জেন সা;পোর্ট দেব বি;নামূ;ল্যে। এ সময় একটি সংবাদে;র নিচে এ নারী কমেন্ট করে তিনি অ;ক্সিজেন দিতে চায় এবং আ;মার সঙ্গে ফেস;বুকে যোগা;যোগ করে অক্সি;জেন সি;লিন্ডা;র দেয়। তখন থেকেই তিনি আমা;র সঙ্গে ফেসবুকে কা;নেক;টেড হয় এবং কথা বলা শুরু করে।

একপ;র্যায়ে আমি বুঝ;তে পারি তার মত;লব ভি;ন্ন এবং আমি তাকে তখন দূ;রে সরাতে চে;ষ্টা করি এবং বো;ঝাই। তার ভার্সিটি পড়ু;য়া ছে;লেকেও আমি ঘট;না জানাই, তখন সে আ;মাকে ব;লে তার মা হয়তো দুষ্টু;মি করছে এ রকম কিছু সম্ভ;ব নয়। তাতেও কাজ হবে না বুঝে আ;মি নভে;ম্বর-ডি;সেম্বরে তার ভগ্নি;পতি;কে জা;নাই। এতে ওই না;রী আরও ক্ষু;ব্ধ হয় এবং আমা;র পে;ছনে ও;ঠেপ;ড়ে লাগে।

তিনি আরও জা;নান, তার পর আ;মার স্ত্রী;কেও বুঝিয়ে বলি— আ;মার স্ত্রীও বলে যে সে আমার স;ঙ্গে দুস্টা;মি করছে হয়;তো। এর পর একবার ওই না;রী আমাকে বি;য়ে করবে ঠিক করে গাড়ি নিয়ে কাজী নিয়ে আমা;র বাড়িতে আসে আমা;কে উঠিয়ে নেও;য়ার জন্য। পরে আমার স্ত্রী ও লো;কজন তাকে আ;টকায়।
সে আমা;দের জীব;ন বিষি;য়ে তুলেছে। আমার রাজ;নৈতিক প্র;তিপক্ষসহ স;বার কাছে গেছে, তবে আমি সবার কাছে কৃ;তজ্ঞ যে সবাই তার কূ;টকৌশ;ল বুঝতে পেরে তাকে অব;জ্ঞা করেছে।

তিনি বলে;ন, সম্মান;কে ভয় পাই বলেই এতদিন মু;খ খুলিনি। আমি ধৈর্য; ধরেছি কারণ আল্লা;হ হয়তো ;একটি ফ;য়সালা করবেন। তবে দু;দিন আগে নারায়;ণগঞ্জের স্থানীয় ;দুটি পত্রিকা;য় আমাকে জ;ড়িয়ে এ সংক্রান্ত নি;উজ হওয়ায় আমি নিজেই বিষ;য়টি সবার কাছে বলতে এসেছি।

আমার পা;শে থাকার জন্য আমি সাং;বাদিক, আমা;র রাজনৈতি;ক সহযো;দ্ধা ও প্রতিপ;ক্ষের কাছে কৃত;জ্ঞ।তিনি আরও বলেন, ২১ জানুয়ারির পর থেকে হো;য়াটসঅ্যা;প, ম্যা;সেঞ্জার ও টেলি;ফোনে আমা;দের হু;মকি দিচ্ছে এবং হ;;ত্যা;র কথাও জানা;চ্ছে ওই না;রী। আমার প;রিবারের সবাইকে মা;রাত্মক মান;সিক অ;ত্যাচা;র করছেন। সর্ব;শেষ আমার স্ত্রী ও সন্তান নকিবকে তুলে নিয়ে হ;;ত্যা কর;বে বলেও হু;;মকি দেয়। আমি এসব ঘ;নায় শুরু থেকেই সরকা;রি সংশ্লিষ্ট সব দপ্ত;র ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে লিখিত;ভাবে জানি;য়েছি এবং অ;বহিত করেছি। বিভিন্ন ঘটনা ঘটার পর পরই তাদের অবহিত করা হয়।

একপর্যায়ে ওই নারী ছড়ি;য়ে দেয়, ধান;মণ্ডির এক বুটিক ব্যবসা;য়ী নারীকে আমি বিয়ে করেছি এবং দুই ব;উ নিয়ে গ্যাঁ;ড়াকলে; আছি। এ ধরনের; কোনো ঘটনা সত্য নয় এবং স্থানীয় দু;টি পত্রিকায় এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয় যা দুঃখ;জনক। তিনি নারায়ণ;গঞ্জ সিটি ;করপো;রেশন থেকে ডন চেম্বা;রের সামনে একটি জায়গা বরাদ্দ পেলেও রাজউকের মাম;লার কারণে তার জায়গা হাত;ছাড়া হলেও তিনি বলেন আমার কারণে নাকি হা;তছাড়া হয় জায়;গা। যার সঙ্গে আমি থাকি;নি, শুইনি কি;ছুই করিনি তাকে কেন ফেস;বুকে কথা বলে বিয়ে করতে হবে?

এসব বলতে গিয়ে কাউন্সিলর খোরশেদ কান্না;য় ভে;ঙে পড়ে বলেন, সাইদা শিউলি নামে এই নারী এক ভয়;ঙ্ক;র চরিত্রের অ;ধিকারী। তার সঙ্গে প্রশাসন; ও উচ্চমহলের বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চ;পদস্থ ব্য;ক্তিদের চলা;ফেরা। তিনি একজন ব্যবসায়ী এবং তিনবা;র বিয়ে করেছেন। ওই নারীর দুই সন্তান রয়েছে, যারা ভার্সিটিতে পড়ে এবং এক মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে।

খো;রশেদ বলেন, এতদিন সহ্য করেছি, আর পারছি না। অনেকে লজ্জায় আমার কাছে জিজ্ঞাসা করতে পারেন না। শুভাকা;ঙ্ক্ষী হিসেবে আপনাদে;র কাছে এ ঘটনার বিচার দিয়ে বিচার চাই। সাংবাদিক ভাইয়ে;রা লেখনী ও প্র;চার-প্রচা;র;ণার মাধ্যমে আমাকে এ অব;স্থা থেকে বাঁচান। আমি এ নি;র্যাত;ন থেকে উদ্ধার হতে মুক্তি চাই। আমি আমার পরিবারের কাছেও ক্ষমা চাই এসব ঘটনায়।

তিনি বলেন, কার্ও ই;জ্জত তৈরি করতে অনেক সময় লাগে, আমিও অনেক সময় নিয়ে ই;জ্জত অ;র্জন করেছি। এখন সেসব নষ্ট করে দিচ্ছে পরিক;ল্পনা করে। আমার জা;মাকাপড় দেখ;লে বুঝ;বেন আপনারা আমি কখনো বিলা;সিতা করিনি। আমি বাসাবা;ড়িতে সময় না দিয়ে আপনাদের সেবায় দি;নরাত পার করছি এবং নিজের একটি অবস্থান করছি। কেন আমার সুনাম; ন;ষ্ট করে আমার ক্ষতি করতে চাইছে এর কারণ কি উদ্ঘা;টন করে মুক্তি চাই।

তার স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনা বলেন, হঠা;ৎ একদিন ওই নারী বাড়ির নিচে এসে উপস্থিত কাজী নিয়ে। পরে আমরা তাকে ধরি। প্রথম দিন আসার পর আমাকে বলে আমার বড় ভাই খোরশেদ। ২ ঘণ্টা পর আমাকে বলে একদিন পরে আপনাকে বলব সব। পরের দিন তিনি আমাকে বলেন— আমি খোরশেদকে ভালোবা;সি আমি তাকে চাই। আপনি অনুমতি দেন।

আমি সংসার বুঝি না, সংসার আপনার সঙ্গে করবে আর আমার সঙ্গে শুধু ফোনে কথা বলবে আর আমাকে সময় দেবে। উনার এ ধরনের কথায় আমার মনে হয় উনি সুস্থ না। পরে তাকে আমি তার পথ দেখতে বলি। এ সময় তিনি আ;মাকে টাকাপয়সা অফার করে এবং যা প্রয়োজন দেবে জানায়। আমি বলি যদি আপনি আমাদের উপকা;র করতে চান তা হলে খোরশেদকে ছেড়ে চলে যান। এতে তিনি ক্ষু;ব্ধ হয়ে আমাকে হুমকি দেয় এবং আমার পরিবারের সবাইকে হ;;ত্যা ক;রবে বলে জানায়।

তিনি আরও বলেন, এরপর আমাদের ও;;য়ার্ডের সচিবকে ফোন দিয়ে বলেছেন আমাকে ও আমার পরিবারের সবাইকে হ;;ত্যা করবে। আমার সঙ্গে তার সব কথা রেকর্ড আছে। সাংবা;দিকসহ যে কেউ চাইলে আমরা এস;ব রেক;র্ডিং দেব। আমি আ;মার স্বামী ও পরি;বারের নিরাপ;ত্তা চাই রা;ষ্ট্রের কাছে।